[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
১৫ কার্তিক ১৪৩২

দুপুরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা, সন্ধ্যায় ফের ইসরায়েলের হামলা

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ৯:৩৩ এএম

সংগৃহীত ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর রাখার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাজায় নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় চালানো ওই হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তারা এমন একটি স্থানে হামলা চালিয়েছে যেখানে অস্ত্র মজুত ছিল এবং সেটি তাদের সেনাদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি করেছিল। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ হামলা গাজার নাজুক অস্ত্রবিরতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ‘প্রতিশোধমূলক জোরালো হামলার’ নির্দেশ দেন।

ওই হামলায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী ১০৪ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

ইসরায়েল দাবি করেছে, ওই হামলায় হামাসের বহু সিনিয়র যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এরপর বুধবার দুপুরে আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার ঘোষণা দেয় তেল আবিব। কিন্তু একইদিন সন্ধ্যায় নতুন হামলা চালায় দেশটি।

এ ঘটনার পর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

তার মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, “এই হামলায় বহু শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে, যা গভীর উদ্বেগজনক।”

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্ক একে “ভয়াবহ” উল্লেখ করে শান্তি প্রচেষ্টাকে হাতছাড়া না করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও।

মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় তারা হতাশ হলেও এখনো যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সর্বশেষ হামলা সত্ত্বেও অস্ত্রবিরতি “ঝুঁকির মুখে নেই।”

হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাফাহে ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের যোদ্ধাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

তারা অস্ত্রবিরতি মানার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে সাম্প্রতিক হামলার কারণে এক ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তারা।

এদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ রেডক্রস প্রতিনিধিদের ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা হামাস ‘বন্দিদের মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর