বিশ্ববাজারে সোনার দাম টানা দুই দিন ধরে কমছে।
অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পর দাম কমার এই ধারা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) স্পট গোল্ডের দাম ৩ শতাংশ এবং মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আরও ১ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬৩ দশমিক ৫৩ ডলার।
মাসের শুরুর দিকে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে ৪ হাজার ৩৮১ ডলার হয়েছিল। ফলে কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মালয়েশিয়ায় চলমান আসিয়ান সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আকস্মিক বাণিজ্যিক চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় সোনার দামে এই পতন দেখা দিয়েছে। চুক্তির সম্ভাবনা বাড়ায় চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঝুঁকি ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা উভয়ই কমে আসে—যার প্রতিফলন পড়ে সোনার বাজারে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পতনের এই ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তাদের ধারণা, সোনার দাম প্রতি আউন্স ৩ হাজার ২৭০ থেকে ৩ হাজার ৪৪০ ডলারে নেমে আসতে পারে, যা বর্তমান দামের তুলনায় সর্বোচ্চ ১৭ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস নির্দেশ করে।
তবে দীর্ঘমেয়াদে বাজারে উল্টো চিত্র দেখা যেতে পারে। বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি মর্গান পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৬ সালে সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্স ৫ হাজার ৫৫ ডলার এবং ২০২৮ সালে ৮ হাজার ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
অন্যদিকে, গোল্ডম্যান সাচসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ সোনার দাম প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৯০০ ডলার হতে পারে।
বর্তমানে অ-ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের বৈশ্বিক সম্পদের প্রায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ সোনায় রয়েছে। জেপি মর্গানের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৮ সালে এই অনুপাত বেড়ে ৪ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সোনার দাম দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এসআর
মন্তব্য করুন: