রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ফলহীন আলোচনায় সময় নষ্ট করতে চান না’।
ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক পরিসরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ট্রাম্প বলেন,
“রাশিয়া যদি যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান না নেয়, তবে আলোচনায় বসা অর্থহীন। আমি অর্থহীন বৈঠকে সময় দিতে চাই না। বাস্তবসম্মত সমাধান ছাড়া এমন বৈঠক কেবল সময়ক্ষেপণ।”
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই। অথচ মাত্র কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, বুদাপেস্টে দুই সপ্তাহের মধ্যে পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক হতে পারে।
কিন্তু দুই দেশের মধ্যে ইউক্রেন ইস্যুতে অবস্থান একেবারেই বিপরীত।
এই মৌলিক বিরোধের কারণেই শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি চান যুদ্ধবিরতি দ্রুত কার্যকর হোক এবং “মানুষ হত্যার এই চক্র” বন্ধ হোক।
তিনি বলেন,
“যেখানে লড়াই চলছে, সেখানেই রেখা টেনে থামো — তারপর ঘরে ফিরে যাও।”
কিন্তু রাশিয়া এই প্রস্তাবকে অস্থায়ী সমাধান বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন,
“রাশিয়া দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ছাড়া কোনো আলোচনায় আগ্রহী নয়।”
তিনি দাবি করেন, দনবাসে রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিরস্ত্রীকরণ শান্তির পূর্বশর্ত — যা কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে প্রস্তুতিমূলক আলোচনারও প্রয়োজন নেই। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে “অতীতে ফলহীন বৈঠকের পুনরাবৃত্তি এড়াতে।”
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন,
“দনবাসের যেসব অঞ্চল কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেগুলো কখনোই রাশিয়ার হাতে যাবে না।”
তার মতে, এসব এলাকা হারালে তা ভবিষ্যতে রাশিয়ার নতুন হামলার ঘাঁটি হয়ে উঠবে।
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, ওয়াশিংটন আপাতত নতুন কোনো সমঝোতার সম্ভাবনা দেখছে না।
এসআর
মন্তব্য করুন: