[email protected] বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
৭ কার্তিক ১৪৩২

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ১০:২০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে হঠাৎ বড় ধরনের পতন ঘটেছে।

 ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছানোর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বাজারে বড় ধাক্কা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেলের দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ। খবর রয়টার্স।

এ সময় প্রতি আউন্স স্বর্ণের মূল্য দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৫৬ ডলার ১৯ সেন্ট, যা আগের দিনের সর্বকালীন সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ ডলার ২১ সেন্ট থেকে অনেক নিচে।

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বর্ণের দামে টানা ঊর্ধ্বগতির পর বর্তমানে একটি স্বাভাবিক সংশোধন ধাপ চলছে। বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিচ্ছেন, ফলে দামে সাময়িক পতন দেখা দিলেও স্বর্ণের চাহিদা এখনো শক্তিশালী রয়েছে।

বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ধারাবাহিক স্বর্ণ ক্রয় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা—এই তিনটি কারণে গত এক বছরে স্বর্ণের দাম বেড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা স্বর্ণে বিনিয়োগের আগ্রহ আরও বাড়িয়েছে। কারণ সুদের হার কমলে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিমুক্ত ও সুদবিহীন সম্পদ—যেমন স্বর্ণের—দিকে বেশি ঝোঁকেন।

বর্তমানে সবার দৃষ্টি যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI)-এর দিকে, যা প্রকাশিত হবে আগামী শুক্রবার। ধারণা করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়াতে পারে ৩ দশমিক ১ শতাংশে। এই তথ্য ইতিবাচক হলে, ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সপ্তাহেই ০ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদের হার কমাতে পারে বলে আশা করছেন বিনিয়োগকারীরা।

স্বর্ণের দামের এই পতনের সময়েই এশিয়ার শেয়ারবাজারে দেখা গেছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতি এবং জাপানে সানায়ে তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টাউানোভো মনে করেন, “অনেক বিনিয়োগকারী এখনো স্বর্ণের আগের উত্থানে অংশ নিতে পারেননি। তারা এই সাময়িক মূল্যপতনকে বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে দেখছেন, যা স্বর্ণের বড় ধরনের পতনকে ঠেকিয়ে দেবে।”

স্বর্ণের পাশাপাশি অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর দামেও বড় ধরনের পতন দেখা গেছে।

  • রুপা কমেছে প্রায় ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৫০ ডলার ৩১ সেন্টে।
  • প্লাটিনাম নেমেছে ১ হাজার ৫৮৩ ডলার ৩৮ সেন্টে,
  • আর প্যালাডিয়াম কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩০ ডলার ০৪ সেন্টে।

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে লন্ডনের স্পট মার্কেটে রুপার সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে তারল্য কিছুটা উন্নত হয়েছে, যা মূল্যপতনে ভূমিকা রাখছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর