[email protected] রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
৪ কার্তিক ১৪৩২

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের ভারত-বিরোধী সতর্কবাণী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ৯:৩৩ পিএম

সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির সম্প্রতি একটি ভাষণে ভারতের বিরুদ্ধে কড়া সতর্কবাণী জানিয়েছেন—যাতে পারমাণবিক অস্ত্র ও দেশের সামরিক সক্ষমতার রেফারেন্সও রয়েছে।

তার বক্তব্য কূটনৈতিক মহল ও সীমান্তীয় আলোচনা পর্যায়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া রেখেছে।

পিএমএ (পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি) কাকুলে দেয়া ভাষণে মুনির বলেন, পারমাণবিক পরিবেশে যুদ্ধের কোনো স্থান নেই, তবুও তিনি সতর্ক করে জানান, ছোটখাট উসকানিতেও পাকিস্তান থেকে পাল্টা জবাব আসতে পারে এবং সেই প্রতিক্রিয়া অনুপাতের বাইরে গিয়ে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

মুনির আরও বলেন, যদি নতুন করে সংঘাত শুরু হয়, পাকিস্তান “উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি” জবাব দেবে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, দেশটির সামরিক সক্ষমতা ও অস্ত্রব্যবস্থার উন্নয়ন ভারতের ভৌগোলিক বিশালতা সম্পর্কে যে ভুল ধারণা কাজ করছে, তা ভেঙে ফেলবে। তিনি সতর্ক করেন যে, ভবিষ্যতে উত্তেজনা বৃদ্ধি হলে তার দায়ভার সরাসরি ভারতের উপর পরবে এবং এটা আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বিপর্যয়জনক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাজনৈতিক-মিলিটারি কথ্য প্রতিক্রিয়াও তীব্র। সংবাদসংক্রান্ত পরিবেশে ভারতীয় নেতারা পাল্টা তীব্র মন্তব্য করেছেন—অক্টোবরের শুরুতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, সীমান্তে দুঃসাহস দেখালে তার প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। এর পরে ভারতের সেনাবাহিনীর চিফ অব আর্মি স্টাফ উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, পাকিস্তানের কোনো ধরনের আক্রমণ বা পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ভারতীয় বাহিনী সংযম দেখাবে না। প্যারালেলে, পাকিস্তান প্রবক্তারা একের পর এক কড়া মন্তব্য ও হুঁশিয়ারি জানানোর ফলে আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষত কিছু পাকিস্তানি নেতার মন্তব্য—যেমন প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের কটাক্ষ—ও সীমান্তীয় কথোপকথনকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। দুই দেশের উভয়পক্ষের পাল্টা হুঁশিয়ারি ও কঠোর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়লে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর