গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় গঠিতব্য আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীতে অংশ নিতে পারে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়া।
এই তিন দেশকে সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম দ্য পলিটিকো।
প্রতিবেদনে এক বর্তমান ও এক সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গঠিতব্য বাহিনীতে এই তিন দেশই এখন পর্যন্ত শীর্ষ প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছে, যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সম্মতি পাওয়া যায়নি।
পলিটিকোর বরাত অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত কেবল ইন্দোনেশিয়া প্রকাশ্যে সৈন্য পাঠানোর আগ্রহ জানিয়েছে। দেশটি বলেছে, জাতিসংঘের অনুমোদনে শান্তিরক্ষী মিশনের আওতায় প্রয়োজন হলে তারা ২০ হাজার সেনা পাঠাতে প্রস্তুত।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় জাতিসংঘের সরাসরি ম্যান্ডেটের উল্লেখ নেই। ফলে এই নিরাপত্তা বাহিনী জাতিসংঘনির্ভর নাকি মার্কিন নেতৃত্বাধীন হবে—সে বিষয়েও এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কাতার, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সেনারাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ে ইসরায়েলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থান করে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে পলিটিকো কোনো নির্দিষ্ট সূত্র প্রকাশ করেনি।
এ বাহিনীর মূল দায়িত্ব হতে পারে—
তবে চূড়ান্ত ম্যান্ডেট ও দায়িত্ব বণ্টন এখনো নির্ধারণ হয়নি।
পলিটিকোর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ পরবর্তী ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়,
“হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে—ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা বাধ্যতামূলকভাবে।”
পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে দ্রুত ম্যান্ডেট নির্ধারণ, অংশগ্রহণকারী দেশ নির্বাচন ও প্রস্তুতি শুরু করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ড্যানিয়েল শাপিরো পলিটিকোকে বলেন,
“দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অংশগ্রহণকারী দেশ ও ম্যান্ডেট চূড়ান্ত করা এই উদ্যোগকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে।”
উল্লেখ্য, গাজার দুই বছরের সংঘাতের পর সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এখন যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের বিষয়টি নিয়ে বিশ্বনেতাদের মধ্যে চলছে তীব্র কূটনৈতিক আলোচনা।
এসআর
মন্তব্য করুন: