ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের সময় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
বিরোধী দলের কয়েকজন সংসদ সদস্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে প্রতিবাদ জানান, ফলে ট্রাম্পের ভাষণ কিছু সময়ের জন্য বাধাগ্রস্ত হয়।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের বক্তৃতা চলাকালে বিরোধী দলের এক সংসদ সদস্য “ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন” লেখা একটি প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে প্রতিবাদ জানান। এতে মুহূর্তেই নেসেটের ভেতর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা সংসদ সদস্যদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং হট্টগোল সৃষ্টিকারী সদস্যকে দ্রুত সংসদ কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, অন্তত দুইজন সংসদ সদস্যকে বাইরে নেওয়া হয়।
বিক্ষোভ থামার পর ট্রাম্প হাস্যরস করে বলেন, “ওটা ছিল খুবই কার্যকর ব্যবস্থা।” এরপর তিনি পুনরায় বক্তৃতা শুরু করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন,
“এটি নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক ভোর। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন অসাধারণ সাহসী নেতা। তার নেতৃত্বেই এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে।”
এ সময় পার্লামেন্টের অনেক সদস্য নেতানিয়াহুর ডাকনাম “বিবি” বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনে যেসব আরব দেশ ভূমিকা রেখেছে, তাদের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
“এটি এক অসাধারণ সাফল্য। তারা একসঙ্গে কাজ করেছে, যা পুরো অঞ্চলে শান্তির দ্বার উন্মোচন করবে,” বলেন তিনি।
ট্রাম্প তার ভাষণে আরও বলেন,
“এখন এটি হবে ইসরায়েলের স্বর্ণযুগ—এবং একই সঙ্গে পুরো মধ্যপ্রাচ্যেরও স্বর্ণযুগ।”
এরপর তিনি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি প্রসঙ্গে বলেন,
“দীর্ঘ দুই বছরের অন্ধকার ও বন্দিদশার পর ২০ জন সাহসী জিম্মি তাদের পরিবারের ভালোবাসার মাঝে ফিরে এসেছেন। আরও ২৮ জন অবশেষে তাদের মাতৃভূমির পবিত্র মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হতে ফিরেছেন।”
ভাষণের শেষাংশে ট্রাম্প বলেন,
“আজ বন্দুক থেমে গেছে। অঞ্চলটি এখন শান্তিতে রয়েছে—এই শান্তি যেন চিরস্থায়ী হয়।”
এসআর
মন্তব্য করুন: