এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণাকে ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে।
বহুদিন ধরেই তিনি দাবি করে আসছেন যে, শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি তিনি নিজেই। পুরস্কার ঘোষণার ঠিক আগে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে নিয়ে করেছেন তীব্র ও বিতর্কিত মন্তব্য।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন,
“ওবামা কিছুই না করেই নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু এর পেছনে কোনো অর্জন ছিল না। তিনি শুধু আমাদের দেশকে ধ্বংস করেছিলেন।”
নিজের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং আটটি যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন—যা আগে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট করতে পারেননি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব তিনি করেছেন পুরস্কারের জন্য নয়, বরং মানুষের জীবন রক্ষার জন্য।
ট্রাম্প বলেন,
“আমি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছি—যা অভূতপূর্ব। কিন্তু নোবেল কমিটি তাদের মতো কাজ করবে, আমি এতে কিছু মনে করি না। আমি এটা নোবেলের জন্য করিনি; করেছি কারণ এতে বহু মানুষের জীবন বাঁচানো গেছে।”
২০০৯ সালে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। সেই সিদ্ধান্ত নিয়েও তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছিল।
এদিকে নরওয়ের অসলোতে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৯টায় ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
ওভাল অফিসে জানুয়ারিতে ফিরে আসার পর থেকেই ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নোবেল কমিটিকে প্রভাবিত করার প্রকাশ্য প্রচেষ্টা দেখা গেছে।
নোবেল কমিটি সাধারণত প্রার্থীদের মূল্যায়নে অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতামতের ওপর নির্ভর করে, এবং ট্রাম্পের এই বক্তব্যে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: