ভূগর্ভস্থ পানির সংকটে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইরান।
দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ পানি আসে ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে। কিন্তু কম বৃষ্টিপাত ও অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে দ্রুত নিঃশেষ হচ্ছে এসব জলাধার— যার প্রভাব পড়ছে মাটির গঠনে। ফলস্বরূপ ইরানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে মাটির নিচে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ প্রফেসর জেসিকা পাইন পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইরানের মধ্যাঞ্চলের প্রায় ৩১ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পৃথিবীর যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দ্রুততম হারে নিচে বসে যাচ্ছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঐতিহাসিক রাফসানজান শহরে। গবেষণা অনুযায়ী, শহরটি প্রতি বছর প্রায় এক ফুট করে নিচে তলিয়ে যাচ্ছে— যা ভূতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
প্রফেসর জেসিকা পাইন বলেন, “যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই রাফসানজান সম্পূর্ণভাবে মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।”
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, এই ভূমি-ধস কেবল স্থাপনা ও অবকাঠামো ধ্বংস করছে না, বরং লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাপন, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎকেও মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছে।
গবেষকরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার বন্ধ না হলে ইরানের আরও বহু শহর একই পরিণতির দিকে এগোতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: