ইসরাইল গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক করা ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানায়, আটক ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, তিউনিশিয়া ও তুরস্কসহ অন্তত ১৪টি দেশের নাগরিক।
ইসরাইলি বাহিনী আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে জোরপূর্বক ফ্লোটিলার মোট ৪৪৩ জন যাত্রীকে আটক করে। তাদের মধ্যে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন বলে জানা গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এই নৌবহরটি ছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’— যা অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ। ফ্লোটিলাটিতে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান অংশ নেয়, যেখানে ৪৬টি দেশের প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যুক্ত ছিলেন।
ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিউনিশিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও কয়েকটি নৌযান যুক্ত হয়। এরপর গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও কয়েকটি ত্রাণবাহী জাহাজ এই বহরে যোগ দেয়।
ইসরাইলি কমান্ডোদের হাতে ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটকের পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। বহু দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” আখ্যা দিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: