সুমুদ ফ্লোটিলার কর্মীদের ইসরায়েলে নেওয়া হচ্ছে

গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী।

এ সময় নৌবহরে থাকা সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক অ্যাক্টিভিস্টকে আটক করা হয়। বর্তমানে তাদের ইসরায়েলের আশোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। নৌবাহিনীর কমান্ডোরা তাদের সমুদ্রে আটক করার সময় কোনো সহিংসতা ঘটেনি। ধারণা করা হচ্ছে, আটক কর্মীরা দুই ঘণ্টার মধ্যে বন্দরে পৌঁছাবেন এবং এরপর তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

গত রাত থেকে ইসরায়েল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ওপর চলমান অবরোধ ভাঙার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে ঠেকাতে অভিযান চালাচ্ছে। মানবিক ত্রাণ বহনকারী মোট ৪৪টি জাহাজের মধ্যে অন্তত ২১টি ইতোমধ্যেই আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ করছে না দখলদার বাহিনী।

এর আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজে এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ফ্লোটিলাটিকে বাধাহীনভাবে গাজায় পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ফ্লোটিলার সরবরাহ মানবিক আইনের আওতায় বৈধ। তবে ইসরায়েল দাবি করছে, এটি নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা, যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে আন্তর্জাতিক আইন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেয়।

গাজার চলমান অবরোধ ও হাজারো মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে এই ফ্লোটিলা ছিল মানবিক সহায়তা ও সংহতির প্রতীকী উদ্যোগ। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন ও মালয়েশিয়ার ১২ জন নাগরিক।

ফ্লোটিলার অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার অভিযান তাদের মিশন থামাতে পারেনি। এখনো কয়েকটি জাহাজ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বাধা অতিক্রম করে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।