যুক্তরাষ্ট্রে আবারও ফেডারেল সরকারের অচলাবস্থা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হওয়া এই ‘শাটডাউন’-এর ফলে বহু সরকারি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে এবং লাখো সরকারি কর্মচারীর বেতন আটকে গেছে।
বাজেট নিয়ে কংগ্রেসে অচলাবস্থার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাঁচ বছর পর দেশ আবারও শাটডাউনের মুখে পড়ল। সিনেটে ব্যয় বাজেট বিল পাস না হওয়ায় শঙ্কা আগেই তৈরি হয়েছিল। খবর আলজাজিরার।
যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ব্যয় বিল কংগ্রেসে পাস না হলে কিংবা প্রেসিডেন্ট তাতে স্বাক্ষর না করলে সরকার শাটডাউনের মুখে পড়ে। এবারের পরিস্থিতির জন্য ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটিই প্রথম বড় ধরনের শাটডাউন।
সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক হলেও তাতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স অভিযোগ করে বলেন, “ডেমোক্র্যাটরা সঠিক কাজ করছেন না। আমেরিকানদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে শর্ত চাপানো যায় না।”
মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, শাটডাউনের মধ্যেও জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। এসব খাতে নিয়োজিত কর্মীরা অচলাবস্থার বাইরে থাকবেন।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ৩৫ দিনের দীর্ঘ শাটডাউন হয়েছিল, যা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বাধিক সময়ের সরকার বন্ধ থাকার রেকর্ড।
এবারের শাটডাউন কতদিন স্থায়ী হবে তা অনিশ্চিত, তবে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—দুই দলই আপসহীন অবস্থানে থাকায় সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: