ভারতের হিমালয় অঞ্চল লাদাখে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানী লেহ শহরে কারফিউ জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
রাজ্যের মর্যাদা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা বিজেপির স্থানীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং একটি পুলিশ গাড়ি ভস্মীভূত করে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়।
সহিংসতার জন্য পরিচিত পরিবেশকর্মী ও শিক্ষাবিদ সোনম ওয়াংচুককে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “বেকারত্ব ও দীর্ঘদিনের হতাশাই তরুণদের উত্তেজনার মূল কারণ।” ওয়াংচুক বহুদিন ধরেই লাদাখের রাজ্যের মর্যাদা, সাংস্কৃতিক অধিকার ও ভূমি-সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ফেরানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে ভারত সরকার। তখন থেকেই বৌদ্ধপ্রধান লেহ এবং মুসলিম অধ্যুষিত কারগিল জেলার মানুষ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ চলছে এবং ইতোমধ্যে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তবে সরকারের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মহল পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর কবিন্দর গুপ্ত।
আগামী ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের গঠিত কমিটি স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও আলোচনার নতুন উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: