দোহায় হামাস প্রতিনিধিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার আগে কাতারকে অবহিত করা হয়েছিল—মার্কিন প্রশাসনের এমন দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে উপসাগরীয় দেশটি। খবর আল-জাজিরার।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক্স-এ দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলি হামলার আগে কাতারকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়েছিল—এমন দাবি পুরোপুরি মিথ্যা। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাওয়ার পরপরই একজন মার্কিন কর্মকর্তার ফোন আমরা পাই। তার আগে কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি।”
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি জানান, হামলা শুরুর প্রায় ১০ মিনিট পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোন আসে এবং ঘটনাটিকে তিনি ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বলছে ভিন্ন কথা। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মার্কিন সেনাবাহিনী ট্রাম্প প্রশাসনকে আগেভাগেই ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে অবহিত করেছিল। বিষয়টি জেনে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন হয়, কারণ হামলা ঘটেছে কাতারের রাজধানী দোহার ভেতরে—যা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র।
লিভিট আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে কাতারকে সতর্কবার্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকেও দোহা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল।
তবে কাতার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে—হামলার আগে কোনো সতর্কবার্তা তারা পায়নি। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের বক্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
এসআর
মন্তব্য করুন: