টানা বিক্ষোভ ও সহিংসতার মধ্যে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।
তার পরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌদেলও পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এর আগে ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের তীব্র চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী অলি পদত্যাগে বাধ্য হন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ নেপালের রাজনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে।
অলি সরকারের সিদ্ধান্তে গত সপ্তাহে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, লিংকডইন, হোয়াটসঅ্যাপ ও এক্সসহ (সাবেক টুইটার) ২৬টি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ পদক্ষেপকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে দেখছে তরুণ প্রজন্ম।
ফলে জেন-জি বা তরুণদের নেতৃত্বে দেশজুড়ে দুর্নীতিবিরোধী ও সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন দমন করতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জন কাঠমান্ডুতে এবং ২ জন নিহত হন ইতাহারিতে। আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক বিক্ষোভকারী।
রাজধানীসহ অন্তত সাতটি শহরে ছড়িয়ে পড়া এ বিক্ষোভে ক্ষুব্ধ জনতা নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রী ও রাজনীতিকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।
বিশ্লেষকদের মতে, নেপালের তরুণদের এই গণআন্দোলন এখন কেবল ডিজিটাল অধিকারের দাবি নয়, বরং দুর্নীতি, স্বৈরাচার ও জবাবদিহির অভাবের বিরুদ্ধে বৃহত্তর গণপ্রতিরোধে রূপ নিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: