[email protected] মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৪ ভাদ্র ১৪৩২

জেন-জিদের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ নেপাল, কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫:৩৩ পিএম

সংগৃহীত ছবি

সরকারি দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ‘জেন জি’ প্রজন্মের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আন্দোলন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।

নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিউ বানেশ্বর এলাকায় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের পর কারফিউ জারি করেন কাঠমান্ডুর প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছাবিলাল রিজাল। স্থানীয় প্রশাসন আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই কারফিউ কার্যকর থাকবে।

 কোন কোন এলাকা কারফিউর আওতায়

প্রশাসনের ঘোষণায় বলা হয়—

  • নিউ বানেশ্বর চৌক থেকে পশ্চিমে এভারেস্ট হোটেল ও বিজুলি বাজার আর্চ ব্রিজ পর্যন্ত
  • পূর্বে মিন ভবন, শান্তিনগর হয়ে টিঙ্কুনে চৌক পর্যন্ত
  • উত্তরে আইপ্লেক্স মল হয়ে রত্ন রাজ্য সেকেন্ডারি স্কুল পর্যন্ত
  • দক্ষিণে শঙ্খমুল হয়ে শঙ্খমুল ব্রিজ পর্যন্ত

এসব এলাকায় চলাফেরা, জমায়েত, বিক্ষোভ কিংবা অবরোধ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে কারফিউর পরিধি আরও বাড়িয়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাস, উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবন লাইনচৌর, সিংহ দরবার (প্রধান সচিবালয়), প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুওয়াটার ও আশপাশের সংবেদনশীল এলাকাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 আন্দোলনের কারণ

মূলত দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদেই কয়েক হাজার তরুণ সড়কে নেমে আসেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাটসহ নিবন্ধিত নয় এমন ২৬টি প্ল্যাটফর্মে সরকারের নিষেধাজ্ঞা এ বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান প্রেক্ষাপট।

প্রশাসনের ব্যাখ্যা

কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অশান্তি নিয়ন্ত্রণ ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কারফিউ জারি ও সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর