[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
১৩ ভাদ্র ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রে পতাকা পোড়ালে এক বছরের জেল, ট্রাম্পের নতুন বিধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ আগষ্ট ২০২৫ ৮:২০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা পোড়ানোকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর শাস্তির বিধান ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশে তিনি জানান, কেউ মার্কিন পতাকা পোড়ালে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো আগাম মুক্তি বা শাস্তি লঘু করার সুযোগ থাকবে না।

তবে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত বলে আসছে, পতাকা পোড়ানো সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর আওতায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অংশ। ১৯৮৯ সালে সুপ্রিম কোর্টও এ বিষয়ে স্পষ্ট রায় দিয়েছিল।

ট্রাম্পের যুক্তি, জাতীয় পতাকা পোড়ানো তাৎক্ষণিকভাবে ‘আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড উসকে দিতে পারে।’ নির্বাহী আদেশে তিনি আরও সতর্ক করেন, বিদেশি নাগরিকরা যদি এ কাজ করেন, তবে তাদের ভিসা বাতিল করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন। তাদের মতে, ট্রাম্পের পদক্ষেপ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক সংগঠন ফায়ার (FIRE) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ট্রাম্প হয়তো মনে করছেন কলমের এক খোঁচায় সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বদলে ফেলা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে তার সে ক্ষমতা নেই।”

অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আওতায় সুরক্ষিত কোনো কর্মকাণ্ডের জন্য শাস্তি দিতে পারে না—যদিও সেটি অনেকের কাছে আপত্তিকর বা উসকানিমূলক মনে হতে পারে।

নির্বাহী আদেশে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নিতে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, বিদেশি নাগরিকেরা পতাকা পোড়ানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। তবে এ অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর