ঢাকায় আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের চারদিনব্যাপী ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন।
এ সম্মেলনে পুশইন, সীমান্ত হত্যা, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক বিষয়গুলো আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
বিজিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন বিএসএফ মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সম্মেলনে বিজিবি দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৭ মে থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ২৪টি সীমান্ত জেলা দিয়ে ভারত ২ হাজার ১৯৬ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। এর মধ্যে সিলেট সীমান্তে সর্বাধিক ৫৭৫ জন এবং মৌলভীবাজার দিয়ে ২৫৪ জন পুশইন হয়েছে।
এর মধ্যে মিয়ানমারের ৩৯ জন শরণার্থী ও শতাধিক ভারতীয় নাগরিকও রয়েছে। সর্বশেষ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছয়জন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের বিএসএফ অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।
এ ছাড়া সীমান্ত হত্যা নিয়েও আলোচনা হবে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ১৭ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গত বছর একই সময়ে নিহত হন ১৬ জন।
সম্মেলনে নদী তীর রক্ষা, যৌথ নদীর পানি বণ্টন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অননুমোদিত নির্মাণ রোধ এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা থেকে সৃষ্ট উত্তেজনা নিয়েও আলোচনা হবে।
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক ১৯৭৫ সাল থেকে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং সীমান্ত সমস্যার সমাধানে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক ফোরাম হিসেবে বিবেচিত।
এসআর
মন্তব্য করুন: