[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
১৩ ভাদ্র ১৪৩২

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ আগষ্ট ২০২৫ ৫:২৬ পিএম

সংগৃহীত ছবি

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দূরপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমস (ATACMS) ব্যবহার করতে পারছে না ইউক্রেন।

কারণ, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) গোপনে এ অস্ত্র ব্যবহারে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে মস্কোর বিরুদ্ধে গভীর আঘাত হানার সক্ষমতা সীমিত হয়ে যাচ্ছে কিয়েভের। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন একদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তি আলোচনায় আনতে চায়, অন্যদিকে পেন্টাগনের অনুমোদন প্রক্রিয়া ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছে। বর্তমানে এ অস্ত্র ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের হাতে।

সম্প্রতি আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি তিনি ইউরোপীয় নেতাদের ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। তবে এসব উদ্যোগে তেমন কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি আসেনি। পরবর্তীতে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কিংবা শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করছে।

এদিকে, ট্রাম্প একাধিকবার পুতিন ও জেলেনস্কির সরাসরি বৈঠকের উদ্যোগ নিলেও তা এখনো সফল হয়নি। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এনবিসিকে বলেন, বৈঠকের জন্য এখনো কোনো এজেন্ডা প্রস্তুত হয়নি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানিয়েছে, পেন্টাগনের নীতিনির্ধারক এলব্রিজ কোলবি একটি বিশেষ “রিভিউ মেকানিজম” চালু করেছেন। এর মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুরোধ যাচাই-বাছাই করা হয়। শুধু মার্কিন অস্ত্র নয়, ইউরোপীয় দেশগুলোর সেই সব অস্ত্রও এর আওতায় রাখা হয়েছে যেগুলো মার্কিন প্রযুক্তি বা গোয়েন্দা তথ্যের ওপর নির্ভরশীল।

গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “কেবল প্রতিরক্ষায় থেকে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয় পাবে না। আক্রমণ ছাড়া যুদ্ধ জেতা প্রায় অসম্ভব।”

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের মন্তব্যে এখনো কোনো নীতিগত পরিবর্তন আসেনি। পেন্টাগনের সীমিতকরণ ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। যদিও হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, চাইলে ট্রাম্প যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন এবং ইউক্রেনকে আরও বড় আক্রমণের অনুমতি দিতে পারেন।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর