কলিং ভিসায় সাড়ে ২৪ লাখের বেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

দীর্ঘ অপেক্ষার পর মালয়েশিয়া আবারও বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে কলিং ভিসার কোটা উন্মুক্ত করেছে।

 নতুন এ উদ্যোগে দেশটিতে সাড়ে ২৪ লাখের বেশি কর্মী নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ কমিটির বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দেশটির প্রধান প্রধান গণমাধ্যমও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

চার বছরের নিষেধাজ্ঞার পর ২০২২ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুললেও সাত মাস পর ২০২৩ সালের মার্চে কোটা অনুমোদন স্থগিত করা হয়েছিল। প্রায় দুই বছর পর আবারও কলিং ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কৃষি, বাগান, খনি খাতসহ মোট ১৩টি উপখাতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে সার্ভিস সেক্টরের হোলসেল ও রিটেইল, ল্যান্ড ওয়্যারহাউস, সিকিউরিটি গার্ড, মেটাল ও স্ক্র্যাপ মেটেরিয়ালস, রেস্তোরাঁ, লন্ড্রি, কার্গো এবং বিল্ডিং ক্লিনিং খাতে কর্মী নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্মাণ খাতে (কনস্ট্রাকশন) শ্রমিক নিয়োগ শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পে সীমাবদ্ধ থাকবে। আর উৎপাদন খাতে (ম্যানুফ্যাকচারিং) অগ্রাধিকার পাবে মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমআইডিএ) অনুমোদিত নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প।

এবারের কলিং ভিসায় আবেদন করতে পারবে কেবল খাতভিত্তিক অফিসিয়াল এজেন্সিগুলো। আগের মতো কোনো এজেন্ট বা সরাসরি নিয়োগকর্তা আবেদন করতে পারবে না। যাচাই-বাছাই শেষে আবেদন অনুমোদন করবে ফরেন ওয়ার্কার্স টেকনিক্যাল কমিটি এবং পরে যৌথ কমিটি।

বর্তমানে ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৬ জন বিদেশি শ্রমিকের কোটা চালু রয়েছে, যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এর পর থেকে নিয়োগ সীমিত করে কেবল দেশের মোট জনশক্তির ১০ শতাংশ পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।

তবে এবার ঘোষিত কোটায় বাংলাদেশ থেকে কতজন শ্রমিক যেতে পারবেন—সে বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।