ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিতে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তবে এবার তিনি একা নন; সঙ্গে থাকছেন ইউরোপের শীর্ষ নেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে সোমবার ওয়াশিংটনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে আলোচনা শেষে ট্রাম্প সরাসরি জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে ডাকেন। মূল আলোচ্য বিষয় হতে পারে পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চল, যা ডনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রদেশ নিয়ে গঠিত। পুতিন চান এ অঞ্চল ছেড়ে দিক ইউক্রেন, আর ট্রাম্পও এ প্রস্তাবে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
ট্রাম্পের ফোনালাপের পর ইউরোপীয় নেতারা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন— জেলেনস্কিকে একা ছেড়ে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে বৈঠকে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মেয়ার্জ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার স্টাব এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের দলবদ্ধ হয়ে হোয়াইট হাউসে যাওয়া ট্রাম্পের উদ্দেশে একটি কড়া রাজনৈতিক বার্তা। এতে আলোচনার গুরুত্ব যেমন বেড়েছে, তেমনি ইউরোপের গভীর উদ্বেগও প্রকাশ পেয়েছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন জেলেনস্কি। একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়ে তিনি কোনো বাস্তব সমর্থন ছাড়াই ফিরে আসেন। এবার সেই পরিস্থিতি এড়াতেই ইউরোপীয় নেতারা জেলেনস্কির পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে তারা একসঙ্গে ওয়াশিংটনে গেলে ট্রাম্প সত্যিই বৈঠকে বসবেন কি না, এ বিষয়ে এখনও হোয়াইট হাউস কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। একইভাবে রাশিয়ার পক্ষ থেকেও এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
সব মিলিয়ে, আসন্ন বৈঠক শুধু ট্রাম্প-জেলেনস্কির আলোচনাই নয়; বরং এটি হয়ে উঠতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের বড় এক পরীক্ষা।
এসআর
মন্তব্য করুন: