[email protected] মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
৪ ভাদ্র ১৪৩২

বাংলাদেশে নিজের বিচার নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের প্রতিক্রিয়া

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০২৫ ১:১৭ এএম

শেখ হাসিনার সাথে টিউলিপ

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিচারাধীন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এ বিচারকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

মামলায় অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে টিউলিপ প্রভাব খাটিয়ে তার মা, ভাই ও বোনকে অনিয়মের মাধ্যমে প্লট পাইয়ে দেন। যদিও টিউলিপের নামে কোনো প্লট নেই।

বুধবার (১৩ আগস্ট) মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ এক পোস্টে তিনি বলেন, “ঢাকায় বর্তমানে যে তথাকথিত বিচার চলছে, তা সম্পূর্ণ প্রহসন। এটি মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে গড়া এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দ্বারা পরিচালিত।”

তিনি অভিযোগ করেন, গত এক বছরে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বারবার পরিবর্তিত হলেও বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ একবারও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, কোনো সমন পাঠায়নি এবং আনুষ্ঠানিক সাড়া দেয়নি।

টিউলিপের দাবি, যদি এটি প্রকৃত আইনি প্রক্রিয়া হতো, তাহলে কর্তৃপক্ষ তার বা তার আইনি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করত, প্রমাণ উপস্থাপন করত এবং আনুষ্ঠানিক চিঠির জবাব দিত। পরিবর্তে, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে, যা তদন্তকারীরা কখনো সরাসরি তার কাছে দেয়নি।

তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তবে লন্ডন সফরের সময়ও সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে টিউলিপ বলেন, “আমি শুরু থেকেই স্পষ্ট করেছি যে আমি কোনো ভুল করিনি। আমার কাছে যদি কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়, আমি তার জবাব দেব।”

দুদকের তদন্ত অনুযায়ী, পূর্বাচল প্রকল্পে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও তাদের সন্তানদের নামে মোট ছয়টি প্লট বরাদ্দ হয়—যার মধ্যে শেখ হাসিনার নামে একটি, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে একটি ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে একটি।

শেখ রেহানার নামে একটি, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে একটি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর নামে একটি।

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরাসরি প্লট না থাকলেও তিনি প্রভাব খাটিয়ে তার মা, ভাই ও বোনকে এসব প্লট বরাদ্দে সহায়তা করেন।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর