পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ভারতকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অপরিবর্তিত রয়েছে এবং উভয় দেশের প্রতিই তারা সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এ মন্তব্য করেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেই আসিম মুনির সতর্ক করে বলেন, ভারত যদি পাকিস্তানের পানির অধিকার অস্বীকার করে, তবে প্রয়োজনে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করতেও পিছপা হবে না পাকিস্তান। তার ভাষায়, এমন যুদ্ধ হলে “বিশ্বের অর্ধেক ধ্বংস হয়ে যাবে।
পাকিস্তান দাবি করছে, ভারত একতরফাভাবে ঐতিহাসিক সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে, যা তারা যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য বলে মনে করে। এরই ধারাবাহিকতায় মুনির ভারতকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি সামরিক নেতা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃতীয় দেশের বিরুদ্ধে এমন পারমাণবিক হুমকি দিলেন।
ট্যামি ব্রুস ব্রিফিংয়ে জানান, সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য বিপর্যয় ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, “এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয় যে, শীর্ষ নেতৃত্ব সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দুই পক্ষকে আলোচনায় বসিয়েছিল এবং স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করেছিল।”
মুনিরের ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিস্তানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বা অস্ত্র বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা এবং তাতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না—এমন প্রশ্নে ব্রুস স্পষ্ট করে জানান, “আমাদের দুই দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক অপরিবর্তিত, এবং আমরা উভয়ের প্রতিই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ব্রুস আরও জানান, গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী সংলাপে দুই দেশ সন্ত্রাসের সব ধরনের রূপ ও প্রকাশের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে।
তার মতে, “অঞ্চল ও বিশ্বের জন্যই দুই দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করা ইতিবাচক খবর, যা ভবিষ্যতের জন্যও উপকারী হবে।”
এসআর
মন্তব্য করুন: