অস্ট্রেলিয়া আগামী সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। খবর—বিবিসি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অস্ত্র ত্যাগ, সাধারণ নির্বাচন আয়োজন এবং ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার করার অঙ্গীকার করেছে। তার ভাষ্যে, মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার চক্র ভাঙতে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই সর্বোত্তম পথ।
ইসরায়েল অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, এটি ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত’ করার সমান। যুক্তরাষ্ট্রও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আলবানিজ জানান, সাম্প্রতিক সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজার ৮৭ শতাংশ এলাকা ইতোমধ্যে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে বা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশের আওতায় রয়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, আরও সামরিক অগ্রগতি মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গাজা শহরের ওপর ইসরায়েলের নতুন দখল পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মতে, এ পদক্ষেপ সংঘাত ও রক্তপাত বাড়াবে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ পরিকল্পনা অবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্রবিরতি, বন্দি মুক্তি এবং মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে। হামাস, ইরান, সৌদি আরবসহ অনেক দেশ এ পরিকল্পনাকে জাতিগত নির্যাতন ও গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। পাশাপাশি মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, স্পেনসহ বহু রাষ্ট্র এটিকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান ও ফিলিস্তিনি অধিকার লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: