[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
১৩ ভাদ্র ১৪৩২

মার্কিন পারমাণবিক হুমকির প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া: “সতর্ক ও দায়িত্বশীল আচরণের” আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ আগষ্ট ২০২৫ ৮:৩২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন রাশিয়ার সীমানার কাছাকাছি মোতায়েনের ঘোষণা দিয়ে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে মুখ খুলেছে রাশিয়া।

ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত যেকোনো বক্তব্য “অত্যন্ত সংবেদনশীল” এবং এ বিষয়ে সকল পক্ষকে “সতর্ক ও দায়িত্বশীল” আচরণ করতে হবে।

গত শুক্রবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন রাশিয়ার আরও কাছাকাছি মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরপরই সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে ট্রাম্পের বাকযুদ্ধ শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মাত্র দুই সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি ‘চূড়ান্ত আলটিমেটাম’ দেন। এর জবাবে মেদভেদেভ একে “যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার হুমকি” বলে আখ্যায়িত করেন। পাল্টা মন্তব্যে ট্রাম্প বলেন, মেদভেদেভ একজন “ব্যর্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট” এবং তিনি “বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন।”

মেদভেদেভও রাশিয়ার ভয়ঙ্কর ‘ডেড হ্যান্ড’ পারমাণবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন, যা প্রয়োজনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পারমাণবিক প্রতিশোধের সক্ষমতা রাখে।

 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে যেকোনো আলোচনাই অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই আমরা এই বিষয়ে বিতর্কে জড়াতে চাই না। সাবমেরিন মোতায়েনের বিষয়টিও আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। এসব আগে থেকেই প্রস্তুত অবস্থায় থাকে।”

তিনি আরও বলেন, “মেদভেদেভের মন্তব্য নিয়ে আমাদের অবস্থান নয়, মূল বিষয় হচ্ছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের দৃষ্টিভঙ্গি।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা স্টিভ উইটকফ-কে রাশিয়ায় পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে উইটকফের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের বৈঠক হলেও তা থেকে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।

তবে পেসকভ বলেন, “আমরা উইটকফকে মস্কোতে স্বাগত জানাই এবং তার সঙ্গে আলোচনাকে গঠনমূলক মনে করি।”

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প-মেদভেদেভের বাকযুদ্ধ পারমাণবিক ইস্যুর মতো গুরুতর বিষয়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে। যদিও রুশ প্রশাসনের বক্তব্যে এখনও কূটনৈতিক সংযম বজায় রাখা হয়েছে।

ট্রাম্প এর আগে নির্বাচনী প্রচারে বারবার বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় ফিরলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ের হুমকি ও কড়া ভাষা থেকে বোঝা যাচ্ছে, তিনি কৌশলগতভাবে চাপ তৈরির নীতিতে আগ্রহী।

অন্যদিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার টানা বোমা হামলা চলতে থাকায় যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। ক্রেমলিনের দাবি, শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি থাকলেও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অবস্থান আগের চেয়ে শক্তিশালী।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর