রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ৫০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হুঁশিয়ার করে বলেছেন—এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার বাণিজ্যিক মিত্রদের ওপর ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’ হিসেবে শতভাগ শুল্ক আরোপ করা হবে।
সোমবার (১৪ জুলাই) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে ট্রাম্প বলেন,
“আমরা সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপ করতে যাচ্ছি। যদি ৫০ দিনের মধ্যে কোনো শান্তিচুক্তি না হয়, তাহলে ১০০% শুল্ক কার্যকর হবে। এটা সরাসরি বাস্তবতা।”
যদিও এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস বা ট্রাম্প শিবিরের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের একটি নতুন কৌশল—বিশেষ করে দেশটির বাণিজ্যিক মিত্র যেমন চীন, ভারত বা মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের মাধ্যমে।
বিশ্লেষকদের মতে, সেকেন্ডারি ট্যারিফ মূলত তাদের ওপর আরোপ করা হয়, যারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে বাণিজ্য চালিয়ে যায়। এটি এক ধরনের কৌশলগত অর্থনৈতিক চাপ, যার মাধ্যমে মূল লক্ষ্য দেশকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইতোমধ্যে তিন বছর অতিক্রম করেছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া চীনের মতো ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছে। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এ ধরনের হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
রাশিয়া বা চীনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।
এসআর
মন্তব্য করুন: