অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় আরও ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর ফলে গত অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি অভিযানে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২৬ জনে— যার অর্ধেকই নারী ও শিশু। সোমবার (১৪ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে
রোববার গাজা শহরের একটি জনবহুল বাজারে বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে রয়েছেন প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি চিকিৎসক ডা. আহমেদ কান্দিল।
অন্যদিকে, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি পানিকেন্দ্রে হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শিশু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুরা পানি নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়ই সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল একজন যোদ্ধা, তবে ‘কারিগরি ত্রুটির’ কারণে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভুল জায়গায় আঘাত হানে। যদিও এই দাবির পক্ষে স্বাধীন কোনো উৎস থেকে সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় অধিকাংশ পানিশোধন ও নিষ্কাশন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি সংকটে পড়া মানুষজনকে ঝুঁকি নিয়ে সীমিত পানিকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে।
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, শুধু জুন মাসেই গাজায় ৫ হাজার ৮০০ শিশু অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১ হাজার শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন।
রোববার আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে অপুষ্টিতে ভুগে। ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে বলেছে:
“শিশুদের দেহ গলে যাচ্ছে। এটি শুধুমাত্র পুষ্টিহীনতা নয়, বরং এটি শিশুদের বেঁচে থাকার জরুরি সংকট।”
এসআর
মন্তব্য করুন: