মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে নতুন করে অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক নৈশভোজের আগে তিনি এ ঘোষণা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিবিএস নিউজ।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইউক্রেনে আরও কিছু অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি। আমাদের এটা করতেই হবে। ইউক্রেন বর্তমানে খুব তীব্রভাবে আক্রমণের শিকার হচ্ছে।”
এর আগে গত সপ্তাহে তার প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য নির্ধারিত কিছু সামরিক চালান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল, যা ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিতর্ক তৈরি হয়। তবে নতুন এই ঘোষণাকে ওয়াশিংটনের অবস্থান পুনর্নির্ধারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
হোয়াইট হাউসের উপ-প্রেস সচিব আনা কেলি জানান, “এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল বলেন, “স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে এবং হত্যাকাণ্ড বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে। ইউক্রেন যাতে আত্মরক্ষা করতে পারে, সেজন্য অতিরিক্ত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সহায়তা দেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ প্রতিরক্ষা নীতির আওতায় বিদেশে সামরিক সহায়তা মূল্যায়নের কাজ অব্যাহত রাখবেন।
সম্প্রতি দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য ‘প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র’ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়েও গভীর হতাশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রধান সামরিক সহায়তাকারী দেশ হিসেবে ভূমিকা রাখছে। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে ড্রোন, রকেট লঞ্চার, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার, ট্যাঙ্ক ও ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এসব সহায়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অস্ত্র মজুত কমে যাওয়ার আশঙ্কা এবং রাজনৈতিক বিতর্কও বেড়েছে। এর আগে চলতি বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে এক উত্তপ্ত বৈঠকের পর সাময়িকভাবে সামরিক সহায়তা স্থগিত করা হয়েছিল, যা পরে এক সপ্তাহের মধ্যেই পুনরায় চালু করা হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: