কাশ্মীরের পেহেলগাম অঞ্চল ঘিরে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে।
কাশ্মীরের পেহেলগাম অঞ্চল ঘিরে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের দাবি, এ সংঘাতে ভারতের অন্তত ২৫০ সেনা নিহত হয়েছেন। তবে ভারত সরকার এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘাতের মাত্রা গুরুতর হলেও ভারত সরকার এখন পর্যন্ত প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে। প্রতিবেদনে বিভিন্ন সামরিক ও কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, সংঘাতে ভারী ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।
সামা টিভির খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, শুরুতে সরকার ও সেনাবাহিনী রাফাল যুদ্ধবিমানের ক্ষতি এবং কৌশলগত ঘাঁটির ধ্বংস সম্পর্কে মুখ না খুললেও, পরে কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করতে বাধ্য হন।
এছাড়া নিহত সেনাদের পরিবারকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ছবি বা তথ্য প্রকাশ না করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাঠানকোট ও উদমপুর ঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও নজরে এনেছেন। তবে ভারত সরকার এ সংক্রান্ত তথ্যকে অস্বীকার করে চলেছে বলে জানায় সামা টিভি।
বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিপর্যয় এবং অন্যদিকে তথ্য গোপনের চেষ্টা— এই দুই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে সরকার চাপে রয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে, ‘অপারেশন বুনিয়ানুম-মারসুস’-এর মাধ্যমে তারা কৌশলগত সাফল্য অর্জন করেছে এবং ভারতীয় বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে।
এই পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নজর কেড়েছে তথ্য-সংকট ও প্রচারযুদ্ধের দিকটি।
এসআর
মন্তব্য করুন: