গাজায় চলমান সংঘাত নিরসনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস।
শুক্রবার (৪ জুলাই) নিজেদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এই সাড়া দেওয়ার কথা জানায় সংগঠনটি।
হামাস বলেছে, "গাজায় আমাদের জনগণের ওপর চলমান আগ্রাসন বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া সর্বশেষ প্রস্তাবটি আমরা গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করেছি এবং মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনাও সম্পন্ন হয়েছে। আমরা মনে করি, এটি একটি ইতিবাচক প্রস্তাব, এবং এর আলোকে আলোচনার নতুন অধ্যায় শুরু করতে আমরা প্রস্তুত।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহে গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, এই সময়কালে ইসরায়েল সব ধরনের সামরিক অভিযান স্থগিত রাখবে এবং হামাস বন্দি রেখে যেসব ইসরায়েলিকে জীবিত পাওয়া গেছে, তাদের এই সময়সীমার মধ্যেই মুক্তি দিতে হবে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় খাদ্য ও ত্রাণবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি কারাগারে আটক, কিন্তু গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত নন— এমন ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
২৯ জুন, রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, “আগামী সপ্তাহেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।” তার পরদিন (৩০ জুন) হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
ইতিমধ্যে নেতানিয়াহু প্রশাসন যুদ্ধবিরতির এই পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছে। শুক্রবার হামাসকে প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায় হামাস।
এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ গাজায় স্বস্তির আশার আলো দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আলোচনায় বসার প্রস্তুতি ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এসআর
মন্তব্য করুন: