[email protected] শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাট্টা ওবামা ও বুশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৫ ৬:৩৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জর্জ ডব্লিউ বুশ একযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।

ট্রাম্পের নেতৃত্বে ইউএসএআইডি (USAID) বন্ধের সিদ্ধান্তকে ‘বিপর্যয়কর’ ও ‘জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউএসএআইডি বন্ধের ঘোষণার পর এক যৌথ প্রতিক্রিয়ায় ওবামা, বুশ এবং খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী ও মানবাধিকারকর্মী বোনো এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানান।

বারাক ওবামা বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ইউএসএআইডি-এর মাধ্যমে পরিচালিত হতো। এটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত একটি ভয়াবহ ভুল। আশা করি দুই দলের নেতারাই দ্রুত এর গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।”

জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেন, “এই সংস্থার মাধ্যমে আমরা এইডস এবং এইচআইভি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি, যার ফলে ২৫ মিলিয়ন মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। এটি বন্ধ হওয়া জাতিগত স্বার্থেই হুমকিস্বরূপ।”

সঙ্গীতশিল্পী বোনো বলেন, “ইউএসএআইডি-এর কিছু কর্মকর্তা দুর্নীতির অভিযোগের মুখে পড়লেও, অধিকাংশই ছিলেন দক্ষ ও নিষ্ঠাবান। তাদের পরিশ্রমেই লাখো মানুষের জীবন বদলে গেছে। সংস্থাটি বন্ধ হওয়া মানে সেই জীবনগুলো হুমকির মুখে পড়া।”

অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, সংস্থাটিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, অর্থ অপচয় এবং অব্যবস্থাপনা চলছিল। এই কারণেই ইউএসএআইডি বন্ধ করে সংস্থাটির কার্যক্রম পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ট্রাম্পের গঠিত "ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)" গত ফেব্রুয়ারিতে ইউএসএআইডি-এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান ইলন মাস্ক এটিকে "আমেরিকাবিরোধী মার্কসবাদীদের আখড়া" বলে আখ্যায়িত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, “ইউএসএআইডি এনজিও শিল্পের স্বার্থে কাজ করছিল, যা আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। এটি উন্নয়ন নয়, বরং অস্থিতিশীলতা বাড়িয়েছে।”

ট্রাম্প তার মার্চের কংগ্রেস ভাষণে দাবি করেন, ডিওজিই ২২ বিলিয়ন ডলারের সরকারি অপচয়ের তথ্য উদঘাটন করেছে, যার একটি বড় অংশ ইউএসএআইডি সম্পর্কিত। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বার্মায় ‘বৈচিত্র্য ও ইক্যুইটি’ বৃত্তির জন্য ৪৫ মিলিয়ন ডলার এবং ‘ট্রান্সজেন্ডার ইঁদুর গবেষণা’র জন্য ৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডি ১৯৬১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডির আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি বিদেশি দেশগুলোতে অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা রাখত।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর