গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) ৮৮০ সদস্য নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর শুরু হওয়া এই যুদ্ধের সময়কাল ধরে হতাহত সেনাদের তালিকা প্রকাশ করেছে আইডিএফ নিজেই।
টাইমস অব ইসরায়েল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৩২৯ জন প্রাণ হারান ৭ অক্টোবরের হামলায়, যেদিন হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বড় ধরনের আক্রমণ চালায়।
এরপর গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের স্থল অভিযান চালানোর সময় আরও ৪৩৬ সেনা নিহত হন। যুদ্ধের প্রথম দিনগুলোর পর থেকে এই নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে সরাসরি সংঘর্ষ ও বিস্ফোরণের ঘটনায়।
ইসরায়েলি পুলিশের প্রকাশিত পৃথক তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৫৮ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছিলেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
আইডিএফ আরও জানায়:
এছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় সেনা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। উদাহরণস্বরূপ—পশ্চিম তীরে গুলিতে, লেবানন সীমান্তে গোলাবারুদ বিস্ফোরণে এবং উত্তর ইসরায়েলে ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনায় আরও কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানায় আইডিএফ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ৫৬ হাজার ৩৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু।
এছাড়া, আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৩২ জন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধটি রূপ নিয়েছে এক ভয়াবহ মানবিক সংকটে, যা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপসংহার:
দুই পক্ষের হতাহতের সংখ্যা থেকেই স্পষ্ট—এই সংঘাত শুধু সামরিক নয়, এক ভয়ংকর মানবিক বিপর্যয়ের নাম হয়ে উঠেছে। যুদ্ধ বন্ধ ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এখন বৈশ্বিক উদ্যোগ আরও জরুরি হয়ে পড়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: