[email protected] সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২

চীনের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কিনছে ইরান?—জবাব দিল তেহরান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৫ ৯:৫৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের সংঘাতে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে সামরিক শক্তির বার্তা দিলেও, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা সামনে এসেছে—আধুনিক যুদ্ধবিমানের অভাব।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘাটতি ইরান কৌশলগতভাবে অনুভব করছে, যার ফলে সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে তেহরান বিভিন্ন সম্ভাব্য বিকল্প খতিয়ে দেখছে।

এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ইরান চীনের কাছ থেকে আধুনিক J-10C যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে চুক্তি করেছে। ভারত-চীন সীমান্তে এই মডেলের সফল ব্যবহারের পর তা নিয়ে আগ্রহ বেড়ে যায় এবং খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

তবে এসব গুঞ্জনের জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান সরকার। তেহরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চীনের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং এই সংক্রান্ত সংবাদ "সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত"।

ইরানের প্রতিক্রিয়া

শনিবার (২৮ জুন) ইরানের একটি বিশ্বস্ত সামরিক সূত্র দেশটির সরকারি গণমাধ্যমকে জানায়, “চীনের একটি সংবাদমাধ্যমকে কেন্দ্র করে কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ তার বেইজিং সফরে J-10C যুদ্ধবিমান ক্রয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ খবর সম্পূর্ণ অসত্য এবং ইহুদি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের ছড়ানো প্রোপাগান্ডার অংশ।”

সূত্রটি আরও জানায়, ইরান সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আত্মনির্ভরশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে এবং যেকোনো বিদেশি সহযোগিতা হবে কৌশলগত স্বার্থ বিবেচনায়।

প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ

বিশ্লেষকদের মতে, আধুনিক যুদ্ধবিমান না থাকায় ইরান এখনো চতুর্থ প্রজন্মের পুরনো বিমাননির্ভর। যদিও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তিতে তারা ব্যাপক অগ্রগতি করেছে, তথাপি আধুনিক বিমানবাহিনীর অনুপস্থিতি বড় ধরনের একটি ঘাটতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তবে ইরান বরাবরই প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশি সরঞ্জামের ওপর নির্ভর না করে নিজস্ব প্রযুক্তি উন্নয়নের কথা বলে আসছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর