ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
এ ঘটনার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কায় তুরস্কও সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। দেশটি ইতোমধ্যেই ইরানের সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, ইরান থেকে এখন পর্যন্ত ‘অস্বাভাবিক’ শরণার্থী প্রবাহ না দেখা গেলেও সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে আঙ্কারা।
সূত্র জানায়, তুরস্ক স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বহুস্তর বিশিষ্ট রাডার ও অস্ত্রব্যবস্থা ব্যবহার করে একটি সমন্বিত বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে।
এর আগে ইরানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হলে, তুরস্কের ‘দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল’ বিমানবহর আকাশে টহল শুরু করে—যাতে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।
তুরস্ক আগেই জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি তাদের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে সীমান্ত নজরদারি ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: