গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ ও আল-বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় মঙ্গলবার (১৭ জুন) অন্তত ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এই হামলার বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেইর আল-বালাহ শহরের কেন্দ্রস্থলের একটি বাড়িতে চালানো হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হন। একই এলাকার আবু আল-আজিন অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের এক তাঁবুতে হামলায় আরও দুজন প্রাণ হারান।
এদিকে, আল-বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে চালানো ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন—এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন।
ওয়াফা আরও জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের উত্তর খান ইউনিসে ইসরায়েলি আর্টিলারির গোলাবর্ষণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালেই রাফাহ ও খান ইউনিসে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর দুটি পৃথক হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এদিনের মৃত্যুর সংখ্যা যুক্ত হওয়ায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫,৪৯৩ জনে। আহত হয়েছেন ১,২৯,৩২০ জনের বেশি।
তবে গাজার সরকারি তথ্য অফিস বলছে, এখনো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ থাকায় প্রকৃত নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, চলমান এই রক্তপাত শুধু মানবিক সংকটকেই গভীরতর করছে না, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: