ইরানের পাল্টা অভিযানে রাতভর ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
হাইফা, তেল আবিবসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহত এবং অন্তত ৭ সেনাসদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার (১৪ জুন) মধ্যরাতের পর থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত একটানা এই হামলা চলে। ইরান দাবি করেছে, ইসরায়েল তাদের জ্বালানি অবকাঠামো ও পারমাণবিক স্থাপনায় আগ্রাসন চালানোর পর এই প্রতিশোধমূলক হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় ইরান নতুন করে হামলা শুরু করে। এতে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র একযোগে ছোঁড়া হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, হাইফা ও তেল আবিবের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে ইরানি অস্ত্রগুলো। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আংশিকভাবে বাধা দিলেও বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ইরান তেল আবিবে একযোগে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। সেই হামলায় ৪ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন।
ইসরায়েল প্রথমে ১৩ জুন ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক গবেষণাগার ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র। তবে বোমার আঘাতে আবাসিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ইরানের সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও ২০ শিশুসহ অন্তত ৮০ জন নিহত হন।
শনিবার প্রকাশিত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, মধ্য ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা আক্রমণে ৭ জন সেনা আহত হয়েছেন। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা-পাল্টা হামলা মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। ইরান ও ইসরায়েল দুই পক্ষই এখন সরাসরি সামরিক সংঘাতে জড়ানোয় পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: