ইসরায়েলের সর্বাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’কে অকার্যকর করে তেল আবিবে অবস্থিত প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
চলতি সপ্তাহে ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই পাল্টা হামলা চালায় তেহরান।
‘আয়রন ডোম’ হলো ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ছোট-বড় ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা রকেট মাঝ আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রযুক্তিকে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা ও গর্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে। তবে এবার সেই গর্বই চূর্ণ করে দিয়েছে ইরান।
ভাঙলো ডোম, আঘাত সেনা সদর দপ্তরে
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস-এর যাচাই করা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তেল আবিবের কেন্দ্রস্থল কিরিয়া এলাকায় মার্গানিট টাওয়ারের পেছনে বিস্ফোরণ ঘটে, যা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরের নিকটবর্তী। ১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয় আয়রন ডোম, এবং মুহূর্তের মধ্যে সেটি লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি আঘাত হানে।
ভিডিওর শুরুতে একটি প্রজেক্টাইল উচ্চ শব্দে আকাশ ছেঁড়ে বেরিয়ে আসে এবং তারপর আলোর ঝলক ও বিস্ফোরণের ভয়াবহ দৃশ্য ধরা পড়ে। বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থলে দেখা যায় আগুনের গোলা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী।
হামলার পেছনের প্রেক্ষাপট
শুক্রবার সকালে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক গবেষণাগার ও সামরিক স্থাপনায় ভারী বিমান হামলা চালায়। এতে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাসহ কয়েকজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ইরান এই পাল্টা জবাব দেয়।
এই ঘটনাকে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার নতুন মাত্রা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেবল ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্ব নয়, বরং আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন ডেকে আনতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: