অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার চলমান লন্ডন সফরের সময় যুক্তরাজ্যের লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিষয়টি বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন, তাই আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চান না।
এর আগে একটি চিঠির মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিক ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, এই সাক্ষাৎ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান নিয়ে চলমান ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে সহায়ক হতে পারে।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, “না, করব না, কারণ এটা আইনি প্রক্রিয়া। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাই না। প্রক্রিয়াটি চলতে থাকুক।”
ড. ইউনূস আরও জানান, তিনি দুদকের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখেন এবং সংস্থাটি সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে বলে বিশ্বাস করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন সরকারের সময় allegedly অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ উঠে এসেছে। তবে টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
এক বিবৃতিতে টিউলিপ বলেন, “ড. ইউনূস আমার সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানানোয় আমি হতাশ। প্রমাণ ছাড়াই মিডিয়ার মাধ্যমে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি রয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “যদি এটি প্রকৃত আইনি প্রক্রিয়া হতো, তবে তারা আমার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত, কিংবা এমন ঠিকানায় চিঠি পাঠাত না, যেখানে আমি কখনও থাকিনি।”
টিউলিপ দাবি করেন, তদন্তে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং তিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক ও সংসদ সদস্য হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
প্রসঙ্গত, এ বছরের শুরুতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের নেতৃত্বে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: