[email protected] শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

“যখন উঠে দাঁড়ালাম, চারপাশে শুধু লাশ” — বিমানের একমাত্র বেঁচে যাওয়া যাত্রী বিশ্ব কুমার রমেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৫ ১২:২৩ এএম

সংগৃহীত ছবি

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিমানের যাত্রী ও একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের বাসিন্দারা।

এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা থেকে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন শুধু একজন—৪০ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্ব কুমার রমেশ।

লন্ডনের বাসিন্দা রমেশ ওই সময় বিমানের ১১-এ নম্বর সিটে বসা ছিলেন। দুর্ঘটনার পর হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,

“সবকিছু এত দ্রুত ঘটে গেল। আমি যখন উঠে দাঁড়ালাম, তখন আমার চারপাশে শুধু লাশ। আমি ভয়ে চিৎকার করে উঠে দৌড়াতে শুরু করি। চারদিকে ছিল বিমানের ধ্বংসস্তূপ।”

রমেশ জানান, তিনি ভাইয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ফিরছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাননি।

“আমার ভাই অন্য সারিতে ছিলেন। আমি এখনো তাকে খুঁজে পাচ্ছি না,” — বলেন শোকাহত রমেশ।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপের পাশ দিয়ে রমেশ ধীরে হাঁটছেন। তার পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট ও গাঢ় ট্রাউজার। শরীরে দৃশ্যমান পোড়ার কোনো চিহ্ন ছিল না, তবে কাপড়ে রক্তের ছোপ ছিল।

এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই-১৭১ আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। উড্ডয়নের মাত্র কয়েক মিনিট পর, প্রায় ৮২৫ ফুট উচ্চতায় ওঠার পরই বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়।

ঘটনার সময় পাইলট শেষ মুহূর্তে ‘মে ডে’ সংকেত পাঠান। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই আকাশে এক বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে।

কর্তৃপক্ষের মতে, দুর্ঘটনাস্থলের পাশের একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসেও বিমানটি আছড়ে পড়ে। এতে ছাত্রাবাসের অন্তত ৫০ জন নিহত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই দুর্ঘটনাকে আধুনিক ভারতের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে, এবং ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধারের কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছিল। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর