ভারতে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত বেড়ে ২৯১

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯১ জনে।

দুর্ঘটনয় এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইটে থাকা ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে ২৪১ জনই প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া বিমানটি আছড়ে পড়েছিল বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে, যেখানে নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।

গুজরাট রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৯৪ জন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন মেডিকেল ছাত্রও রয়েছেন, যারা দুর্ঘটনার সময় ছাত্রাবাসে অবস্থান করছিলেন।”

তবে ভয়াবহ এই ট্র্যাজেডির মধ্যেও অলৌকিকতভাবে বেঁচে গেছেন এক যাত্রী। তিনি ছিলেন বিমানের জরুরি বহির্গমন দরজার পাশে, ১১-এ নম্বর আসনে। তার নাম বিশ্বকুমার রমেশ। পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট ও কালো ট্রাউজার্স, আর শরীরে ছিল রক্তের ছাপ। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ধারণা করছে, দুর্ঘটনার পর হয়তো আরও কেউ বেঁচে থাকতে পারেন—হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

আহমেদাবাদ পুলিশের প্রধান জি.এস. মালিক জানান, ঘটনাস্থল থেকে ২০০টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত আছেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিও।

ভারতের স্বাস্থ্যসচিব ধনঞ্জয় দ্বিবেদী নিহতদের শনাক্ত করার জন্য যাত্রী এবং ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনার পর বিমানটি প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়, কেবল লেজের অংশটি এখনো ছাত্রাবাসের একটি ভবনের ছাদে দৃশ্যমান। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ছিল অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মডেলের এটি ছিল প্রথম বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা ফ্লাইটটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। এটি ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এখনও উদ্ধার তৎপরতা ও তদন্ত চলছে।