[email protected] শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গণ গ্রেফতারের পর থমথমে লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভের প্রস্তুতি অন্য শহরেও

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৫ ৩:৪৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

গণগ্রেফতার ও কারফিউর পর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ফের বিক্ষোভের প্রস্তুতির খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে কারফিউ তুলে নেওয়ার পর শহরে ‘অস্বস্তিকর শান্তি’ বিরাজ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলেও, আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফেডারেল সরকারের তথ্যমতে, লস অ্যাঞ্জেলেসে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩০ জন অবৈধ অভিবাসী এবং ১৫৭ জনকে বিভিন্ন ফৌজদারি অভিযোগে আটক করা হয়—যার মধ্যে রয়েছে পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা, হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়া।

দুটি ভিন্ন ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর মোলোটভ ককটেল নিক্ষেপের দায়ে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে ফেডারেল প্রসিকিউটররা।

অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্প প্রশাসন চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করেছে। এমনকি ন্যাশনাল গার্ডকে সাধারণ নাগরিকদের আটক করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন অভিযানকে চলমান উত্তেজনার জন্য দায়ী করে বলেন, “ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে বাসিন্দাদের উত্তেজিত করা হয়েছে।”

তিনি জানান, সপ্তাহখানেক আগেও পরিস্থিতি ছিল শান্ত। কিন্তু শুক্রবার অভিযান শুরুর পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ফেডারেল সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের এখতিয়ার হরণ করে কেন্দ্রীয় প্রশাসন এক ধরনের জাতীয় পরীক্ষা চালাচ্ছে।

বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ডাউনটাউনে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আংশিক কারফিউ জারি করা হয়। মেয়র বাস জানান, এক বর্গমাইলজুড়ে এই কারফিউ বলবৎ থাকবে। লুটপাট ও ভাঙচুর ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর