ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযান টানা ১১৪তম দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
এই দীর্ঘস্থায়ী অভিযানে ইতোমধ্যে শিবিরের ভেতরে প্রায় ৬০০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইরানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ইরনা, ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ‘ওয়াফা’র তথ্যমতে, স্থানীয় পৌরসভার হিসাব অনুযায়ী শিবিরের অধিকাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, আর অনেকগুলো বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেনিন পৌরসভা জানিয়েছে, টানা গুলিবর্ষণ ও সশস্ত্র অভিযানের ফলে শিবিরের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই সামরিক অভিযানকে ‘পরিকল্পিত মানবিক সংকট’ এবং ‘গণদমনমূলক নীতি’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
অন্যদিকে, গাজায় ইসরাইলি হামলা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কাতারে চলমান পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলাকালে ইসরাইলি বাহিনীর নতুন হামলায় সেখানে আরও ৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বিশেষ করে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় বুধবার ভোর থেকে চালানো হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হন।
এছাড়া, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরেও হামলায় প্রাণ গেছে আরও ১০ জনের।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৫৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। লাগাতার বিমান ও স্থল হামলায় গাজার অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: