যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার চলমান কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, "আমাদের সম্পর্ক বর্তমানে অত্যন্ত ভালো।
আমরা চীনকে আঘাত করতে চাই না, বরং একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।" হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। খবর: বিবিসি।
ট্রাম্প আরও বলেন, "চীনের অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছিল, তাদের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এ অবস্থায় তারা আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরে সন্তুষ্ট।"
দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। আগামী ৯০ দিনের জন্য উভয় দেশ একে অপরের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করতে সম্মত হয়েছে। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, এই সময়কালে উভয় দেশই নিজেদের আরোপিত শুল্ক গড়ে ১১৫ শতাংশ কমাবে।
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে এই সমঝোতায় পৌঁছানো হয়। এর আগে জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিল, যার জবাবে চীনও ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করে।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনবে এবং চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে আনবে। এই হ্রাস কার্যকর থাকবে আগামী তিন মাস।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই সময়ের মধ্যে চীনের উচিত ফেন্টানিল নামের মারাত্মক মাদকের অবৈধ রপ্তানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী, এ বিষয়ে চীনের সদিচ্ছা দেখতে পাওয়া যাবে।
অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট বলেন, "এই সমঝোতা প্রমাণ করে, উভয় দেশই নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য এবং এটি তারই সূচনা।"
এর আগে আরোপিত শুল্কের কারণে বিশ্ববাজারে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছিল। তবে নতুন এ চুক্তির ঘোষণার পরপরই বিশ্ব শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: