আগামী সপ্তাহে চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সফরের অংশ হিসেবে তিনি সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফর শুরু হবে মঙ্গলবার, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে উপসাগরীয়-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ফিলিস্তিন সংকটসহ অঞ্চলটির নিরাপত্তা, সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই তিনটি দেশ ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এ সফরকে ঘিরে গাজা, ইউক্রেন ও ইরানসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন সংকটে ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা হয়েছে। এই দেশগুলো নিজেদেরকে ওইসব সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরতে চায়।
এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের সদ্য ঘোষিত যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, "আমি গর্বিত যে যুক্তরাষ্ট্র এই ঐতিহাসিক ও সাহসী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সহায়তা করতে পেরেছে।"
কাশ্মীর সংকটের বিষয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, "যদিও আলোচনায় এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি, আমি দুই দেশের সঙ্গে ব্যাপকভাবে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। একই সঙ্গে কাজ করে দেখতে চাই, 'হাজার বছরের' অচলাবস্থার কোনো সমাধান সম্ভব কিনা।"
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—যুক্তরাষ্ট্র কি এবার সত্যিই দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছে?
এসআর
মন্তব্য করুন: