জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উদ্ভূত উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি সামরিক হামলার ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস নিয়ে।
পাকিস্তান বিমানবাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে। তাদের দাবিতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ—তারা ভারতীয় বিমানবাহিনীর গর্ব, তিনটি অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। যদিও ভারত এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেছে।
ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম প্রথমে রাফাল ধ্বংসের ইঙ্গিত দিলেও পরে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলে, ফলে ঘটনা নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি।
এমন পরিস্থিতিতে এবার রাফালের উৎপাদনকারী দেশ ফ্রান্সের এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন। সিএনএন-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি রাফাল জেট পাকিস্তানি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। এটাই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথম রাফাল ধ্বংসের ঘটনা।”
তিনি আরও জানান, রাফালের আরও কোনো ইউনিট ধ্বংস হয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে এবং বিষয়টি নিয়ে ফরাসি কর্তৃপক্ষ নজরদারিতে রয়েছে।
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বিধ্বস্ত একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষে ফরাসি প্রস্তুতকারকের লেবেল দেখা গেছে বলে জানায় একটি অনুসন্ধানী সংস্থা। তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সেটি রাফালেরই ধ্বংসাবশেষ কি না। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত দাসো অ্যাভিয়েশন কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য দেয়নি।
রাফাল যুদ্ধবিমানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন নির্মিত রাফাল একটি টুইন-ইঞ্জিন, মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান, যার ওজন প্রায় ১০ টন। বিমানটি ৩০ মিমি কামান, এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, লেজার-গাইডেড বোমা ও ক্রুজ মিসাইলসহ বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত।
ভারত ২০১৬ সালে ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল ক্রয়ের চুক্তি করে, যার সবকটিই ২০২۲ সালের মধ্যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে পৌঁছে যায়। যুদ্ধক্ষেত্রে এই প্রথম কোনো রাফাল ধ্বংস হওয়ার খবর সামনে এল।
যদিও ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে গোয়েন্দা স্তরে স্বীকারোক্তি এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা অঙ্গনে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: