ভারতের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলাকে ‘অকারণ যুদ্ধ ঘোষণা’ এবং ‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের নগ্ন লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান।
এ ঘটনার জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ প্রতিরোধমূলক ক্ষমতা দিয়েছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (NSC)।
বুধবার ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত NSC বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত পরিকল্পিতভাবে পাঞ্জাব ও আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের বেসামরিক বসতিতে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে মসজিদ, বাড়িঘরসহ নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে NSC ভারতের ওপর চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার সম্পূর্ণ দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছে।
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তান জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করে এবং সে অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীকে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্ণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জানানো হয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এজন্য সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও প্রস্তুতির প্রশংসা করা হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির পক্ষ থেকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, ভারতকে তার আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহি করতে হবে। পাকিস্তান সবসময় শান্তি চায়, তবে সেটি হতে হবে মর্যাদাসম্পন্ন ও সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে।
ভারতের হামলায় পাকিস্তানি ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে বলে জানায় ইসলামাবাদ। অপরদিকে পাকিস্তানের পাল্টা জবাবে ভারতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং বহু আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে আল-জাজিরা, দুই দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে।
এসআর
মন্তব্য করুন: