ইসরাইলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে তেলআবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী।
রবিবারের এ হামলায় দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ৩০ লাখ ইসরাইলি নাগরিক নিরাপত্তার জন্য মাটির নিচে আশ্রয় নেন।
টাইমস অব ইসরাইল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের চারস্তর বিশিষ্ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা — 'আয়রন ডোম', 'ডেভিড’স স্লিং', 'অ্যারো-২' ও 'অ্যারো-৩' — ভেদ করে বেন গুরিয়নের কেন্দ্রস্থলে আঘাত হানে।
ইসরাইলি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ হামলার পরপরই বিমানবন্দরটির সব ফ্লাইট স্থগিত করে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বহু ফ্লাইট বাতিল অথবা অন্য গন্তব্যে পাঠানো হয়।
ইসরাইলের জরুরি সেবা সংস্থা ইদিয়োথ আহরোনোত জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানবন্দরে ২৫ মিটার গভীর একটি গর্তের সৃষ্টি হয় এবং অন্তত সাতজন আহত হন। ঘটনাস্থলের ফুটেজে ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহতা স্পষ্ট।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেন,
“আমরা বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে সফলভাবে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনেছি। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একে থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইয়েমেনের এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ভারসাম্যের নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের উচ্চ গতি ও অপ্রত্যাশিত গতিপথের কারণে বিশ্বজুড়েই এ ধরনের অস্ত্র প্রতিহত করা এখনো অত্যন্ত কঠিন।
হামলার পর আতঙ্কে ইসরাইলের হাজার হাজার মানুষ বাঙ্কারে ঢুকে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর মতে, প্রায় ৩০ লাখ নাগরিক গ地下 বাঙ্কার ও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে ইসরাইল সরকার রোববারের নির্ধারিত মন্ত্রিসভা বৈঠক বাতিল করে এবং তাদের বর্তমান ইয়েমেন-নীতি পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ নেয়।
জেরুজালেম পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার সরাসরি পাল্টা হামলার প্রস্তুতির কথাও ভাবছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: