বিশ্ববাজারে আবারও কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধারা চলমান মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনার কিছুটা প্রশমন এবং আসন্ন ওপেক প্লাস বৈঠকের প্রেক্ষাপটে তেলের বাজারে অনিশ্চয়তা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪২ সেন্ট বা ০.৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬১.৭১ ডলারে। একই দিনে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (WTI) দাম ৪৬ সেন্ট বা ০.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৫৮.৭৮ ডলারে—রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে। এতে করে দীর্ঘদিনের বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
অনিক্স ক্যাপিটাল গ্রুপের গবেষণা প্রধান হ্যারি টিচিলিংগুইরিয়ান বলেন, “মার্কিন-চীন সম্পর্ক নিয়ে সামান্য আশাবাদ দেখা গেলেও বর্তমান পরিস্থিতিকে এখনও অস্থায়ী বলেই মনে হচ্ছে।”
এর আগে, ৩০ এপ্রিল (বুধবার) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৭৫ সেন্ট বা ১.১৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬৩.৫০ ডলারে, আর WTI কমে ৭৯ সেন্ট বা ১.৩১ শতাংশে দাঁড়ায় ৫৯.৬৩ ডলারে।
এপ্রিল মাসজুড়ে ব্রেন্ট ও WTI-এর দাম যথাক্রমে ১৫ ও ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা ২০২১ সালের নভেম্বরের পর থেকে সবচেয়ে বড় মাসিক পতন।
রয়টার্স পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, আরেক জরিপে দেখা যায়, এপ্রিল মাসে চীনের শিল্প উৎপাদন গত ১৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত হারে সংকুচিত হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: