টিউলিপের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করতে পারে ইন্টারপোল

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

 দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত। সোমবার (১৪ এপ্রিল) ডেইলি মেইল-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন রোববার টিউলিপ, তার মা শেখ রেহানা (৬৯), ভাই রাদওয়ান (৪৪) ও বোন আজমিনা (৩৪)-র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে টিউলিপকে পলাতক ঘোষণা করে আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি হাজির না হলে, বাংলাদেশ সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করে আন্তর্জাতিকভাবে তাকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিক ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করে পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে তার মা ও ভাইবোনের নামে তিনটি প্লট বরাদ্দ নেন। বর্তমানে তারা সবাই যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।

টিউলিপ ও তার পরিবার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। টিউলিপ বলেন, “এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ আমি গুরুত্ব দিতে রাজি নই। আমার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই।”

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিটি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ। ডেইলি মেইল তখন আরও দাবি করে, বাংলাদেশে রাশিয়া-নির্মিত একটি পারমাণবিক প্রকল্প থেকে প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে, যা টিউলিপ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন।

আরও একটি বিতর্কিত অভিযোগে বলা হয়, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় টিউলিপ যে ফ্ল্যাটে থাকেন, তা তিনি একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ডেভেলপারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন। যদিও তিনি দাবি করেন, ওই ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা কিনে দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ যদি ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করে, তবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী ও বিচারকদের সামনে উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পেশ করতে হবে। কারণ, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে ২-বি শ্রেণির প্রত্যর্পণযোগ্য দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।