চীনে তৈরি স্মার্টফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিকস পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি জানিয়েছেন, এসব পণ্যকে একটি নতুন শুল্ক বিভাগের আওতায় আনা হচ্ছে এবং কোনো ধরনের শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে না।
বিবিসির বরাতে জানা গেছে, গত শুক্রবার একটি ঘোষণায় বলা হয়েছিল, কিছু ইলেকট্রনিকস পণ্য ১৪৫% পর্যন্ত শুল্ক ছাড় পাবে। এতে ইউরোপীয় শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তবে রোববার মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এসব পণ্য এখন 'সেমিকন্ডাক্টর শুল্ক' বিভাগে পড়বে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, সোমবার তিনি নতুন শুল্কনীতি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করবেন। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “আমাদের ওষুধ, সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিকস নিজ দেশেই উৎপাদন করতে হবে।
তিনি আরও জানান, নতুন এই শুল্ক আগের স্থগিত বৈশ্বিক শুল্কের পাশাপাশি কার্যকর হবে।
শনিবার প্রকাশিত এক কাস্টমস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, কিছু পণ্য ১২৫% শুল্কের বাইরে থাকবে। কিন্তু ট্রাম্প তা নাকচ করে বলেন, এসব পণ্যও নতুন শুল্কের আওতায় পড়বে এবং পূর্বের বিজ্ঞপ্তি ভুল।
ট্রাম্প আরও জানান, ইলেকট্রনিকস ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি ট্যারিফ ইনভেস্টিগেশন’ শুরু হবে।
হোয়াইট হাউজ জানায়, শুল্ককে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র আরও ভালো বাণিজ্য চুক্তি করতে চায়। এতে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান দেশে ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
তবে এখনো চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্লেষকদের ধারণা, এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হতে পারে।
এদিকে চীন ট্রাম্পকে শুল্কনীতি বাতিলের আহ্বান জানিয়ে “পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার পথে” ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: